আমি ব্লগ লেখার খুব বেশি সমর্থক কোনওদিনও ছিলাম না, সত্যি কথা বলতে কি এখনও যে আছি তা নয় । তার একটা প্রধান কারণ আমার ধারণা ব্লগ লেখার থেকেও পড়া অনেক বেশি ক্লান্তিকর । অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময়ই পড়তে শুরু করে শেষ করা হয়ে ওঠে না । নিজের ধৈর্য এবং/অথবা আগ্রহের অভাবকে 'ঠিক আছে, বাকিটা পরে পড়ব' জাতীয় অজুহাত দিয়ে ঢেকে দিই - আর আমরা সবাই জানি সেই 'পরে' টা আর কখনওই আসে না । তো, এই কারণে আমি ঠিক করেছি আমার ব্লগকে কখনওই অন্যের ক্লান্তির কারণ ঘটাব না, আমার ব্লগের বিষয় হবে প্রধানতঃ ভ্রমণ । আমার মতো যেসব বাঙালিরা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমার ব্লগ হবে তথ্যের একটা উৎস । আমার নিজের একটা অভ্যেস আছে, কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগে সেই জায়গাটা সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি, আর ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে আমার বরাবরই মনে হয়েছে যে ইন্টারনেটে লেখালেখি করার ব্যাপারে বাঙালিদের থেকে কুঁড়ে খুব কম শিক্ষিত জাতই আছে । আমার মতো যেসব বাঙালিরা আছে, যারা ইন্টারনেটে কোনো একটা ইংরিজীতে লেখা দেখলেই না পড়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য আমার ব্লগ সহায়ক হবে, এই বিশ্বাস নিয়ে শুরু করছি আমার ভ্রমণকাহিনী । আগেই বলে রাখি, আমি স্ট্যাটিসটিক্সের ছাত্র ছিলাম, তাই আমার ব্লগে তত্ত্বের থেকে তথ্যের দেখাই মিলবে বেশি ।

Sunday, August 29, 2010

বক্‌খালি ভ্রমণ

বেড়ানোর তথ্যভান্ডার হিসেবে দেখাতে গেলে প্রথমেই যেটা করার দরকার হয় সেটা হচ্ছে সময়ের উল্লেখ, কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা জায়গার অনেক কিছুই বদলে যায়, বিশেষ করে জিনিসের দাম । তাই যদি বলে দিই আমি কোন  সময়ে গেছিলাম, তাহলে পরবর্তীকালে যারা এই লেখা follow করে যাবে (যদি আদৌ কেউ করে !) তাদের পক্ষে estimate করাটা সহজ হতে পারে ।

ডায়মন্ডহারবার
২৮শে আগস্ট, ২০১০ শনিবার সকালে আমরা বক্‌খালির উদ্দেশ্যে রওনা দিই । দলে আমি ছাড়া সব্যসাচী, অয়ন, সুমন, নৈঋতা আর কাকলি । সকাল সাড়ে ছটায় উল্টোডাঙ্গার হাডকোর মোড় থেকে একটা টাটা সুমোয় আমাদের যাত্রা শুরু । আমি আর সুমন ছাড়া সবাই হাডকো থেকেই উঠেছিল, আমরা যথাক্রমে হায়াত ও রুবির মোড় থেকে । এরপর E M Byepass কামালগাজীর মোড় নরেন্দ্রপুর হয়ে আমাদের গাড়ি বারুইপুর পর্যন্ত গেল । সেখান থেকে ভেতরের অলিগলি দিয়ে আমরা পৌঁছলাম আমতলায় । এই আমতলা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আরও পরিচিত রাস্তা আছে, সেটা খিদিরপুর থেকে ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে যাওয়া যায় । কিন্তু সেই রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা বেশি, তাই আমাদের রাস্তাটাই শ্রেয় । এরপর আমতলা থেকে ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে পৌঁছলাম ডায়মন্ডহারবারে । এখানে গাড়ি দাঁড়াল মিনিট পনেরো । চা খাওয়ার জায়গা আছে, চাইলে কিছু টিফিনও করে নেওয়া যেতে পারে, কারণ বক্‌খালি পৌঁছতে এখনও দেরি আছে । ডায়মন্ডহারবারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই মনোরম, গঙ্গা এখানে বিশাল চওড়া, আর জলের মধ্যে ছোট ছোট নৌকো চলতে থাকে যা দেখতে খুব সুন্দর লাগে ।

নামখানা
এরপর আরও ঘন্টাখানেক চলার পর পড়বে নামখানা । কলকাতা থেকে নামখানা পর্যন্ত দুরত্ব ১৫০ কিমি - র সামান্য কিছু বেশি । এখানে vessel এ করে নদী পেরোতে হয় । সবমিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ মজার, বাস লরি মারুতি সুমো সবকিছু জেটি থেকে সোজা vessel এ উঠে যায়, আর গোটা জিনিসটা সবকিছু সমেত নদীর অন্য পারে চলে যায় । সুমোর জন্য জেটির ভাড়া ৩০ টাকা আর vessel এর ভাড়া ১৬০ টাকা । দুটোই সরকার নির্ধারিত আর বিলও পাওয়া যায় । এর মধ্যে ৩০ টাকাটা আর ফেরার সময়ে দিতে হয় না, তবে তার জন্য বিলটা নিজের সঙ্গে রেখে দিতে হবে । এই নামখানায় প্রচুর মাছ ধরার ট্রলারকে দাঁড়িয়ে থাকতে বা চলতে দেখা যায় আর এখানে খুব টাটকা মাছ খুব সস্তায়ও পাওয়া যায় ।

নামখানা থেকে বক্‌খালির দুরত্ব ৩৫ - ৪০ কিমি - র মতো, আর এই রাস্তাটাও খুব সুন্দর । আমাদের ড্রাইভারের হাত খুব ভালো, একঘন্টার কমসময়ে আমরা বক্‌খালি পৌঁছে গেলাম । রাস্তার দু'পাশে কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে পরপর হোটেলগুলো আছে, আমাদের বুকিং ছিল 'ডলফিন হোটেল' এ, খুঁজে পেতে অসুবিধে হল না ।

ডলফিন হোটেল
হোটেলের বিবরণ খুব বিস্তারিত দিচ্ছি না, তবে এটুকু বলতে পারি ডলফিন বক্‌খালির ঘ্যাম হোটেলগুলোর একটা, আর তার Double Bed Non AC ঘরগুলোর ভাড়া ৫০০ টাকা (যদিও আমরা discount দিয়ে ৪০০ টাকায় পেয়েছিলাম) কিন্তু দেখে বুঝলাম ঘরগুলো থাকার পক্ষে উপযুক্ত নয় । বিশেষ করে যাদের বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘর নিয়ে খুঁতখুঁতুনি থাকে তাদের পক্ষে এই ঘর বুক করা মোটেই ভালো সিদ্ধান্ত নয় । দোতলায় Double Bed AC আর তিনতলায় Double Bed AC Deluxe ঘর আছে, তবে চাইলে AC ব্যবহার না করে ভাড়া কমিয়ে অর্ধেক করে নেওয়া যায় ।

হোটেলের খাবার সবমিলিয়ে ভালো, আর খাবার জায়গাটাও ভালো । খাওয়ার পর আমরা গেলাম সমুদ্রে চান করতে । এখানে একটা খুব দরকারি তথ্য দেওয়ার আছে যেটায় আমরা ঠকেছি । কলকাতায় হোটেল বুকিং এর সময়ে আমাদের বলেছিল আমাদের হোটেল থেকে সমুদ্র হেঁটে ৫ মিনিট, যেটা সম্পূর্ণ বাজে কথা । প্রথমতঃ বক্‌খালিতে বিচের কাছে কোনও হোটেল নেই আর কোনও হোটেল থেকেই হেঁটে বিচে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না । নিজের গাড়িতে না গেলে অন্য উপায় হচ্ছে লোকাল ভ্যান-এ যাওয়া । আর ডলফিন হোটেল থেকে গাড়িতে বিচে যেতে ৫ - ১০ মিনিট লাগবেই ।

সমুদ্র - ভাঁটার সময়ে
বিচ্‌টা বেশ সুন্দর তবে সমুদ্র দেখে হতাশ হলাম । আমরা সমুদ্রে গেছি দুপুর ৩ টে নাগাদ, সমুদ্রের জলে কোনও ঢেউ নেই । নেই মানে নেইই । দেখে কোনও বড় নদীর সঙ্গে পার্থক্য করা যায় না । মাঝখানে চরাও দেখা যায় । তখন সমুদ্রে ভাঁটা চলছে যদিও তাতে আমাদের উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি, ওই ঢেউবিহীন সমদ্রেও ঘন্টা দুই দাপাদাপি করলাম । বাকি ব্যাপারটা গতানুগতিক, ভিজে বা আধ-শুকনো জামাকাপড় পরে হোটেলে ফেরা আর তারপর আরেক দফা চান করা ।

সন্ধ্যেবেলা আমরা আবার বিচে গেলাম । এবারও গাড়ি ছাড়া গতি নেই । বিচের কাছে হোটেল না থাকলেও বেশ কিছু খাওয়ার জায়গা আছে, সেরকমই একটা জায়গা থেকে সন্ধ্যের জলখাবার খেয়ে নেওয়া হল । খাবারের দাম বেশ সস্তাই, আর মানও খুব একটা ভালো কিছু নয় । আটটা চিকেন পকোড়ার প্লেট এর দাম ৬০ টাকা ।

এরপর সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসলাম । সন্ধ্যেয় সমুদ্রের চেহারা দুপুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । সন্ধ্যেবেলা জোয়ার ছিল, সেই সময়ে সমুদ্রকে দেখে সমুদ্রই মনে হয় । সমুদ্রের ধারে বসার জন্য চেয়ার পাওয়া যায় যার রেট ২০ টাকায় ৬ টা । সেই চেয়ারে মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত বসে সমুদ্রের হাওয়া ও সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, তারপর পুলিশ আর অনুমতি দেয় না । আর যদি হোটেলে খাওয়ার পরিকল্পনা না থাকে তাহলে এর চেয়ে বেশি দেরি করলে খাবার জায়গা খোলা নাও পাওয়া যেতে পারে । আমরা আমাদের সন্ধ্যের রেস্তোরাঁই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম । সবাই মিলে রুটি চিলি-চিকেন ফ্রাইড রাইস চাউমিন অর্ডার দিয়ে ভাগ করে খাওয়া হল । বলা বাহুল্য, এই খাওয়ারও খরচ সেরকম বেশি কিছু না ।

এরপর হোটেলে ফিরে এসে শুয়ে পড়লাম । পরেরদিন সকালে সূর্যোদয় দেখার জন্য ছটায় যাওয়ার কথা ।

হেনরি আইল্যান্ড এর টাওয়ার থেকে
সকালে যথাসময়ে উঠে দেখলাম আকাশ মেঘে ঢাকা, তাই যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না । তার বদলে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে গাড়ি করে গেলাম 'হেনরি আইল্যান্ড' (আমি জানি না কেন জায়গাটার নাম 'আইল্যান্ড' কারণ জায়গাটা মূল ভুখন্ডের সঙ্গেই যুক্ত) দেখতে । আমাদের হোটেল থেকে গাড়িতে মিনিট কুড়ি মতো সময় লাগে । জায়গাটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য প্রকল্পের জায়গা, এখানে ঢোকার সময়ে টিকিট লাগে, মাথাপিছু ৫ টাকা আর গাড়ির জন্য ১৫ টাকা । আমরা শুনেছিলাম ওখানে একটা টাওয়ার আছে যেটার ওপর থেকে চারপাশের অনেক কিছু দেখা যায় । সেটাই প্রধান আকর্ষণ । গেলাম দেখলাম এবং হতাশ হলাম । টাওয়ার মানে একটা তিনতলা বাড়ির ছাদ আর সেখান থেকে দেখার জায়গা বলতে দিগন্তবিস্তৃত জঙ্গল (যার মধ্যে কোনও বন্য জন্তু দেখতে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই) আর বহুদূরের সমুদ্র । স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটা দেখতে বেশি সময় লাগল না ।

সমুদ্র - ঠিক যেরকমটি চাই
এরপর নটা নাগাদ জলখাবার খেয়ে ঝাঁপ দিলাম সমুদ্রে । সেই সমুদ্র যার জন্য বক্‌খালি আসা, সেই সমুদ্র যাতে ঢেউ আছে, সেই সমুদ্র যার দেখা আমরা আগেরদিন দুপুরে পাইনি । আরও বহু মানুষ ছিল সমুদ্রে, সবাই মিলে চান করার মজাই আলাদা । যারা সমুদ্রে চান করেছে তাদের জন্য এই জিনিস ব্যাখ্যা করার দরকার হয় না, আর যারা করেনি তাদের জন্য করার মানে হয় না । ঘন্টা দুই মতো জলে থাকার পর প্রবল অনিচ্ছাসত্ত্বেও উঠতে হল - এটা আমার সবসময়ই হয় আর আমার বিশ্বাস আমার মতো আরও অনেকেরই হয় ।

এরপরের বিবরণ সংক্ষিপ্ত । হোটেলে গিয়ে দ্বিতীয়বারের চান করা আর তারপর হোটেল থেকে চেক্‌-আউট করে হোটেলেই খাওয়াদাওয়া করে নিলাম । তারপর ঠিক দুপুর একটার সময়ে গাড়ি করে ফেরার পথ ধরলাম । আমরা ফেরার সময়ে রাস্তায় কিছুটা জায়গায় প্রচন্ড বৃষ্টি পেয়েছিলাম, সেই বৃষ্টি এতই প্রবল যে একসময়ে গাড়ি থামানোরও উপক্রম হয়েছিল, যাই হোক শেষ পর্যন্ত সেটার আর দরকার হয়নি ।

ডায়মন্ডহারবার - ফেরার পথে
নামখানায় এসে আবার নদী পেরোনো আর তারপর সোজা ডায়মন্ডহারবার । এখানে মিনিট পনেরো বিরতি নিয়ে আবার যাত্রা । ঠিক সন্ধ্যে ছটায় আমরা আবার আমাদের প্রিয় শহর কলকাতায় ।








সারসংক্ষেপঃ

১. কলকাতা থেকে নামখানার দুরত্ব ১৫০ কিমির মতো, আর বকখালি ২০০ কিমির কিছু কম । আমরা ওখানকার সব ঘোরাঘুরি গাড়িতে করেছিলাম তাই আমাদের সব মিলিয়ে ৪৫০ কিমির মতো হয়েছিল ।
২. কলকাতা থেকে নামখানা ট্রেনে যাওয়া যায়, শিয়ালদা থেকে একটানা ট্রেনও আছে, তবে ছুটির দিন ছাড়া ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক হবে না । কারণ, শিয়ালদা থেকে ট্রেনে বসে গেলে নিত্যযাত্রীরা বারুইপুরে উঠিয়ে দেবেই । ফলে মাঝের অনেকটা পথ মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হতে পারে, যেটা মোটেই বেড়াতে যাওয়ার পক্ষে সুখকর নয় ।
৩. ধর্ম্মতলার বাসডিপো থেকে বক্‌খালির সরাসরি বাসও পাওয়া যায়, কম খরচে মোটামুটি আরামদায়কভাবে যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো উপায় ।
৪. বক্‌খালি থেকে 'হেনরি আইল্যান্ড' ছাড়াও দেখার জায়গা আছে 'কুমীর প্রকল্প', যেটা হোটেল থেকে সমুদ্রে যাওয়ার পথেই পড়ে । এখানে  কিছু কুমীর আর হরিণ আছে বলে শুনেছি, কিন্তু খুব বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না কারণ আমরা এখানে যাইনি ।
৫. এছাড়া দেখার জায়গা আছে 'জম্বুদ্বীপ' যেটা মূল ভুখন্ডের সঙ্গে যুক্ত নয়, বক্‌খালি থেকে গাড়িতে এক জায়গা পর্যন্ত গিয়ে তারপর লঞ্চে যেতে হয় । আমাদের হোটেল থেকে বলে দিয়েছিল বর্ষার সময়ে ওখানে না যাওয়াই ভালো কারণ দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় কাদা হয়ে থাকে আর লঞ্চের লোকেরা ইচ্ছে করে সেইরকম জায়গাতেই নামায় যেখানে লোকে বেশি ঘুরতে না পারে । তাই এই জায়গাতেও আমরা যাইনি ।
৬. বক্‌খালিতে থাকা বা খাওয়ার জন্য খুব হাই-ফাই হোটেল বা রেস্তোরাঁ আশা না করাই ভালো, করলে নিরাশ হতে হবে । মোটামুটি থাকা-খাওয়া যায় এরকম চলনসই জায়গা আছে, এইটুকু বলা যায় ।
৭. যাদের কেনাকাটা করার অভ্যেস আছে, তাদের জন্য বলছি, কেনাকাটা করার জন্য একমাত্র সমুদ্রের কাছে কিছু দোকান আছে, এছাড়া আর কোথাও কিছু নেই । দোকানের সংখ্যা খুবই কম আর হয়তো সেই কারণেই কোনওকিছুর দাম প্রায় কমানোই যায় না । যাই হোক, নিকট আত্মীয় বা বন্ধুদের দেওয়ার জন্য পছন্দমতো উপহার পাওয়া যেতে পারে ।

উপসংহারঃ


বক্‌খালি
দীঘা পুরী মন্দারমণি শঙ্করপুর তালসারী তাজপুর ঘুরে যাদের সমুদ্র দেখার জন্য কাছাকাছি অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছে করে তাদের জন্য বক্‌খালি একটা option. বক্‌খালিতে সমুদ্র ছাড়া সেরকম কিছুই নেই, আমরা আশাও করিনি । একরাতের বেশি কাটানোর কোনও মানেও হয় না, সেই জন্য weekend trip হিসেবে মন্দ নয় । জায়গাটা খুব সাধারণ আর সেটাই এর অসাধারণত্ব । জায়গাটার একটা স্বাভাবিক সৌন্দর্য আছে, যেটা খুব জনবহুল জায়গায় কখনওই পাওয়া যায় না । দীঘা পুরী মন্দারমণির মতো ঘ্যাম নয়,  অল্প হোটেল-দোকান আর শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ নিয়ে বক্‌খালি থাকুক বক্‌খালিতেই ।

বক্‌খালি ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here: